'সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ে সচেতনতা' শিরোনামে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা। এইচএসসি পরীক্ষা সকল বোর্ড।
একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা। আশা করি তোমারা সকলেই ভালো আছো। আমি রঞ্জু, Runner Education BD এর পক্ষ থেকে তোমাদের সকলকেই স্বাগতম। আজকে আমরা বাংলা ২য় পত্রের 'সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ে সচেতনতা' সংলাপ রচনাটি শিখবো। চল আর কথা না বাড়িয়ে আজকের ক্লাস শুরু করা যাক।
সড়ক দুর্ঘটনা সচেতনতা শিরোনামে দুই বন্ধুর সংলাপ রচনা
রুবেলঃ কেমন আছো জুয়েল?
জুয়েলঃ ভালো নেই। ভীষণ দুশ্চিন্তায় আছি।
রুবেলঃ কী ব্যাপার? কী হয়েছে বলো তো?
জুয়েলঃ বর্তমানে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা একটি জাতীয় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
রুবেলঃ এ থেকে প্রতিকারের উপায় কী হতে পারে?
জুয়েলঃ আমাদের দেশের জনগণকে সচেতন করে তোলাই হলো সবচেয়ে বড় কাজ। জনসচেতনতা ছাড়া এর প্রতিকার সম্ভব নয়।
রুবেলঃ অদক্ষ, অযোগ্য ও লাইসেন্সবিহীন চালকের কারণেই বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটে। তাই চালকদের লাইসেন্স দেওয়ার আগে তাদের দক্ষতা যাচাই করা খুবই প্রয়োজন।
জুয়েলঃ ফিটনেসবিহীন যানবাহনও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। তাই গাড়ি রাস্তায় নামানোর আগে ভালোভাবে ফিটনেস পরীক্ষা করা উচিত।
রুবেলঃ ট্রাফিক আইন মেনে চলার ব্যাপারে জনগনকে সচেতন হতে হবে এবং ট্রাফিক আইনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
জুয়েলঃ ট্রাফিক আইনের ব্যাপারে আরও কঠোর নিয়ম জারি করা প্রয়োজন।
রুবেলঃ ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের ক্ষেত্রে দণ্ডীয় শাস্তির বিধান চালু করতে হবে।
জুয়েলঃ পরিবহনে অতিরিক্ত মালামাল ও যাত্রী বহনের কারণেও অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে।
রুবেলঃ পরিবহন মালিকদেরও নিদিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে শ্রমিক নিয়োগ করতে হবে।
জুয়েলঃ চালক নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করতে হবে।
রুবেলঃ ড্রাইভার ও হেলপারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
জুয়েলঃ এসব বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে পারলে অনেকাংশেই সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
রুবেলঃ সেই উদ্যোগেই আমাদের সচেষ্ট হতে হবে।
জুয়েলঃ অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
রুবেলঃ তোমাকেও ধন্যবাদ।
আরো সংলাপ রচনা পড়ুনঃ
একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমাদের পরিক্ষা জন্য এরকম আরো বেশি বেশি নোট ও সাজেশন পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো। ফেইসবুকে সবার আগে আমাদের আপডেট পেতে ফেইসবুক পেইজটি FOLLOW করতে পারো।