অর্থই অনর্থের মূল ভাবস্প্রসারণ। বাংলা ২য়। এইচএসসি পরিক্ষা সকল বোর্ড।
একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আজকে আমরা বাংলা দ্বিতীয় পত্রের "অর্থই অনর্থের মূল" ভাবসম্প্রসারণটি শিখবো। চল আর কথা না বাড়িয়ে আজকের "অর্থই অনর্থের মূল" ভাবসম্প্রসারণটি শিখে নেওয়া যাক।
অর্থই অনর্থের মূল। ভাবসম্প্রসারণ। এইচএসসি পরীক্ষা সকল বোর্ড।
অর্থই অনর্থের মূল
মূলভাবঃ মানব জীবনে অর্থের প্রয়োজন সীমাহীন। অর্থবিত্ত মানুষের পার্থিব জীবনের অবলম্বনস্বরূপ। আবার পৃথিবীতে নানা রকম অনর্থ ঘটে অর্থেরই কারণে। অর্থাৎ অর্থ যেমন মানুষের জীবনের অনেক প্রয়োজন মেটায়, তেমনি অনর্থও ঘটায়।
সম্প্রসারিত ভাবঃ মানবজীবনের জন্য অর্থ-সম্পদ অপরিহার্য। অর্থ ছাড়া মানুষ তার জীবনধারণের জন্য কোনো কাজেই সম্পাদন করতে পারে না। পৃথিবীতে অর্থ ছাড়া বেঁচে থাকা তাই অসম্ভব। জীবনযাত্রা নির্বাহের জন্য অর্থের প্রয়োজন। তাছাড়া বর্তমানে অর্থের মানদন্ডেই মানুষ মানুষকে সম্মান করে। অর্থহীন মানুষকে কেউ কদর করে না, সম্মান করে না, এমনকি কাছের মানুষও ভালোবাসে না। মানুষের জীবনে অর্থের গুরুত্ব এত বেশি হওয়ার কারণেই মানুষ অর্থ সংগ্রহে কঠিন সংগ্রামে লিপ্ত হয়। রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে অর্থের আশায়। কেননা, অর্থ বিপদে বন্ধুর মতো পাশে দাঁড়ায়। জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত নানা প্রয়োজন মেটায় অর্থ। তবে এই অর্থ সম্পদ মানুষের জীবনে ভয়ানক হয়ে দেখা দিতে পারে। পৃথিবীতে নানা রকম অনর্থ ঘটে অর্থের কারনেই। অর্থের লোভে মানুষ নানা রকম দুর্নীতিতে লিপ্ত হয় এবং দেশ ও দশের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এতে করে সামাজিক অবক্ষয় ঘটে। ধনসম্পদের কারণেই আপনজনদের সাথে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। মানুষ মানুষকে খুন করতেও ভয় পায় না। বর্তমান পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রের সাথে রাষ্ট্রের যে সংঘাত, তার পেছনেও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অর্থই জড়িত।
মন্তব্যঃ মানুষের জীবনে অর্থের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই জীবনে অর্থের ব্যাবহার এমনভাবে করতে হবে, যেন অর্থ অনর্থের কারণ হয়ে না দাঁড়ায়। আর তা না হলে অর্থই হবে অনর্থের মূল।