'কীর্তিমানের মৃত্যু নেই' - ভাবসম্প্রসারণ | এইচএসসি পরীক্ষা | বাংলা ২য় পত্র |

কীর্তিমানের মৃত্যু নেই - ভাবসম্প্রসারণ। এইচএসসি পরীক্ষা ২০২২। বাংলা ২য় পত্র।

কীর্তিমানের মৃত্যু নেই ভাবসম্প্রসারণ। এইচএসসি পরীক্ষা সকল বোর্ড।


একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা। আশা করি তোমারা সকলেই ভালো আছো। আমি রঞ্জু, Runner Education BD এর পক্ষ থেকে তোমাদের সকলকেই স্বাগতম। আজকে আমরা বাংলা ২য় পত্রের 'কীর্তিমানের মৃত্যু নেই' ভাবসম্প্রসারণটি শিখবো। চল আর কথা না বাড়িয়ে আজকের ক্লাস শুরু করা যাক।

কীর্তিমানের মৃত্যু নেই

মূলভাবঃ মানুষের জীবন সংক্ষিপ্ত, কিন্তু মানুষের মহৎ কর্ম বা কীর্তি অমর। এই অমর কীর্তির কারণেই কীর্তিমান মানুষকে মৃত্যুর পরও পৃথিবী স্মরণ করে।
 
সম্প্রসারিত ভাবঃ জন্ম-মৃত্যু ধ্রুব সত্য। নশ্বর এ পৃথিবীতে মৃত্যু অবধারিত। মৃত্যুর মধ্যে দিয়েই মানুষের পার্থিব সত্তা এ পৃথিবী হতে বিলীন হবে যায়। কিন্তু কীর্তিমান ব্যক্তি বেঁচে থাকেন তাঁর কর্মের মধ্যে। পৃথিবীর মহৎ ব্যক্তিবর্গ মানবকল্যাণে এমন কিছু কাজ করে যান, যার ফলে পৃথিবীর মানুষ তাঁদেরকে মৃত্যুর পরও ভুলে যায় না। বরং, মহৎ কর্মের জন্য মানুষের হৃদয়ে চিরকাল অমর হয়ে থাকেন। কোনো সাধারণ মানুষের মৃত্যু হলে পৃথিবীতে দীর্ঘকাল কেউ মনে রাখে না। সে পৃথিবী থেকে চিরতরে বিলীন হয়ে যায়। অথচ কীর্তিমান ব্যক্তির মৃত্যু হলে তাঁর দৈহিক সত্তার অবসান হয় শুধু, কিন্তু মহৎ কাজের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে চিরকাল অমর হয়ে থাকে। তাই কীর্তিমান ব্যক্তির মৃত্যুর পরও তাঁকে মানুষ যুগ যুগ মনে রাখে। তাঁর অবদান মানুষ সগৌরবে প্রচার করে। এভাবে কীর্তিমান ব্যক্তি তার কাজের মাধ্যমে বিশ্বের বুকে অমরত্ব লাভ করে। এ জন্য তাঁদের দীর্ঘ আয়ুর প্রয়োজন পড়ে না। কেননা, অনেকে দীর্ঘকাল বেঁচে থেকেও কিছুই করতে পারে না। আবার অনেকে অল্প সময় বেঁচে থেকে তার কর্মের মাধ্যমে পৃথিবীতে অমরত্ব লাভ করে। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য্য মাত্র একুশ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু বাংলা সাহিত্য তাঁর অমর কীর্তি মৃত্যুর পরেও বাঁচিয়ে রেখেছে মানুষের হৃদয়ে। সেরকম ভাষা আন্দোলনে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিক সহ অনেকে অল্প বয়সে মাতৃভাষার জন্য শহিদ হয়েছেন। তাদের এই কীর্তি বাঙালির হৃদয়ে চিরকাল অমর হয়ে থাকবে। প্রকৃত অর্থে মানুষ বাঁচে তার কর্মে, বয়সের মধ্যে নয়।

মন্তব্যঃ মহৎ কীর্তি একজন নশ্বর মানুষকেও করে তুলতে পারে অবিনশ্বর। যুগের পর যুগ, দিনের পর দিন পার হলেও কীর্তিমান ব্যক্তির অবদানের কথা মানুষ স্মরণ করে। মৃত্যুর পরও ঐ কীর্তি বা কর্মের মধ্যে দিয়ে কীর্তিমান মানুষরা পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকেন চিরকাল। সুতরাং কীর্তিমানের মৃত্যু নেই।


একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমাদের পরিক্ষার জন্য এরকম আরো বেশি বেশি নোট ও সাজেশন পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো। ফেইসবুকে সবার আগে আপডেট পেতে আমাদের ফেইসবুক পেইজটি FOLLOW করতে পারো।

Post a Comment

Previous Post Next Post