সাম্প্রতিক 'জঙ্গিবাদ' সমস্যা প্রসঙ্গে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের মধ্যে সংলাপ রচনা। এইচএসসি পরীক্ষা সকল বোর্ড।

সাম্প্রতিক 'জঙ্গিবাদ' সমস্যা প্রসঙ্গে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের মধ্যে সংলাপ রচনা।

সাম্প্রতিক 'জঙ্গিবাদ' সমস্যা প্রসঙ্গে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের মধ্যে সংলাপ রচনা। এইচএসসি পরীক্ষা সকল বোর্ড।

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা কী অবস্থা তোমাদের পড়াশোনার, আশা করি ভালো। আজকে আমরা সাম্প্রতিক 'জঙ্গিবাদ' সমস্যা প্রসঙ্গে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের মধ্যে সংলাপ রচনা টি শিখবো। চল আর কথা না বাড়িয়ে আজকের সংলাপ রচনা টি শিখে নেওয়া যাক। 

সাম্প্রতিক 'জঙ্গিবাদ' সমস্যা প্রসঙ্গে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের মধ্যে সংলাপ রচনা।

শিক্ষার্থীঃ আসসালামু আলাইকুম স্যার। আমি কি ভিতরে আসতে পারি?
শিক্ষকঃ অলাইকুম আসসালাম। অবশ্যই। এসো। আচ্ছা, বল কি বলতে চাও? 
শিক্ষার্থীঃ স্যার আমি আজ একটি বিষয় জানতে চাই।
শিক্ষকঃ কী বিষয় বলো? 
শিক্ষার্থীঃ স্যার, জঙ্গিবাদ কী?
শিক্ষকঃ 'জঙ্গিবাদ' হলো এক ধরনের সন্ত্রাসবাদ, যারা ধর্মের অপব্যাখ্যাকে পুঁজি করে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং জনমনে ভীতির সঞ্চার করে, তারা জঙ্গি। বর্তমান বিশ্বের মতো আমাদের দেশেও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে।
শিক্ষার্থীঃ কয়েকদিন আগে টিভিতে দেখলাম জঙ্গিরা বিভিন্ন স্থানে হামলা চালাচ্ছে। এমনকি মানুষ হত্যার মতো জঘন্য কাজ করছে। কিন্তু তারা কেন নিরীহ ও শান্তিপ্রিয় মানুষের ওপর আঘাত হানে।
শিক্ষকঃ ঐ যে বললাম স্বার্থউদ্ধার করা। শোন —নানা প্রতারক ও ভন্ডের কাছ থেকে ধর্মীয় অপব্যাখ্যা শুনে এরা তা বিশ্বাস করে। এছাড়া দেশ—বিদেশে কিছু কুচক্রীদের উৎসাহ দেয় এ ধরনের কাজ করতে।
শিক্ষার্থীঃ কিন্তু বিষয়টি অত্যন্ত জঘন্য জেনেও এরা কেন জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে এমন আত্মঘাতী কাজ করে?
শিক্ষকঃ যারা জঙ্গিবাদ সমর্থন করে, তারা কুসংস্কারাচ্ছন্ন। এদের কাছে দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য, এমনকি পরিবার পযন্ত তুচ্ছ। তাই এরা ধর্মীয় অপব্যাখ্যা শুনে তা বিশ্বাস করে। যাকে বলে মগজধোলাই। এরপর অনায়াসে এরা এরূপ জঘন্য কাজে লিপ্ত হয়।
শিক্ষার্থীঃ স্যার, পৃথিবীর কোনো ধর্মই তো মানুষ হত্যা সমর্থন করে না।এমনকি সামাজিক বিশৃঙ্খলাকেও প্রশ্রয় দেয় না। তবে এরা কোন ধর্মের কাজ করে বেড়ায়? 
শিক্ষকঃ স্বার্থ উদ্ধার বা ক্ষমতার জন্য এরা এরূপ জঘন্য কাজ করে বেড়ায়।
শিক্ষার্থীঃ আমাদের বর্তমান সমাজের প্রতিটি মানুষই এরূপ হীনকর্মকে ঘৃণা করে। তবে এদেরকে নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছে না কেন? 
শিক্ষকঃ অবশ্যই এদের নির্মূল করা সম্ভব। এর জন্য সবার আগে প্রয়োজন জনসচেতনতা। 
শিক্ষার্থীঃ স্যার, এর জন্য আমাদের আর সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভুমিকা কতটুকু?
শিক্ষকঃ সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে অবদান রাখার আছে। আমরা চাইলেই এদের বর্জন করতে পারি এবং দেশ ও জাতির জন্য হুমকিস্বরূপ এমন মানুষের শনাক্ত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করতে পারি।
শিক্ষার্থীঃ আর সরকার এর বিরুদ্ধে কি কি ব্যবস্থা নিচ্ছে?
শিক্ষকঃ জঙ্গিবাদ নির্মূলের সরকার বদ্ধপরিকর। এদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। এছাড়া জনগনকে সচেতন করতে নানা আলোচনা সভার আয়োজন করছে। এমনকি মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ, ব্যানার, সংস্কৃতিচর্চা প্রভৃতির ওপর জোর দিচ্ছে। এভাবে এগিয়ে গেলে একদিন নিশ্চয় আমাদের দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা সম্ভব হবে।  শিক্ষার্থীঃ আমরা তো আমাদের দেশেকে ভালোবাসি। স্বপ্নের সোনার বাংলা স্বপ্ন দেখি। আমাদের দেশেকে রক্ষার্থে আমরাও এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার, আমাকে সচেতন করার জন্য। 
শিক্ষকঃ তোমাকেও ধন্যবাদ। ভালো থেকো।

আরো সংলাপ রচনা পড়তে নিচের বাটনটিতে কিক্ল করতে পারো।

Post a Comment

Previous Post Next Post