অসময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু। ক্ষুদে গল্প। বাংলা ২য় পত্র। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি। এইচএসসি পরীক্ষা সকল বোর্ড।
একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি ভালো। আজকে আমরা বাংলা দ্বিতীয় পত্রের "অসময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু" ক্ষুদে গল্পটি শিখবো। চল আর কথা না বাড়িয়ে আজকের ক্ষুদে গল্পটি শিখে নেওয়া যাক।
অসময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু। ক্ষুদে গল্প। বাংলা ২য় পত্র। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি। এইচএসসি পরীক্ষা সকল বোর্ড।
হাসান ও লাভলুর মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব। একজন আরেকজনের সঙ্গে সবকিছু ভাগাভাগি করে কাজ করে। তাদের দেখলে সবাই বলত সাক্ষাৎ মানিকজোড়। এভাবে চলতে-ফিরতে ও লেখাপড়া করতে করতে আজ তারা কলেজের গন্ডিও প্রায় শেষ করতে চলেছে। দুজনই সমানতালে পড়াশোনা করছে। দুজনেরই স্বপ্ন একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া। তাই দুজন পরামর্শ করে একটি ল্যাপটপ কিনল। লক্ষ্য তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে পরীক্ষায় আরও ভালো ফল করার প্রত্যাশা। সুবিধামতো যার যখন ল্যাপটপ প্রয়োজন, তখন তার কাছেই থাকত। কিন্তু হঠাৎ করে লাভলুর মনে লোভ জেগে উঠল। সে ল্যাপটপটিকে নিজের করে নিতে চাইল কিন্তু মুখে সে বন্ধুকে কিছুই বলতে পারল না। তাই সে ক্লাসের কিছু সহপাঠীর সাথে এ নিয়ে আলোচনা করল ও তাদের কুপরামর্শে হাসানকে বিপদে ফেলতে চাইল। ওরই ইঙ্গিতে হাসান ছিনতাইকারীর কবলে পড়ল। কিন্তু লাভলু হাসানের সঙ্গে থাকলেও সে তেমন উদ্যোগী ভুমিকা নিল না। হাসান নিজের শরীরে আঘাত পেয়েও ল্যাপটপটা হাতছাড়া করল না। মুখোশ পরা ছিনতাইকারীদের সাথে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে নোমান নামের এক সহপাঠী এসে তাকে সাহায্য করে এবং ল্যাপটপটি রক্ষা করতে সক্ষম হয়। কারণ নোমান পূর্বেই যখন লাভলুকে অসৎ সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করতে দেখেছিল, এমন হতে পারে বল সে আভাস (আন্দাজ) পেয়েছিল। তাই বাড়ি ফেরার পথে হাসানের বিপদে সে এগিয়ে এলো। নোমানের কাছে এমন কথা জানতে পেয়েও লাভলুর নীরব ভুমিকায় হাসান বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে রইল। আর সে বুঝতে পারল অসময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু।