বাল্যবিবাহ নিরোধের গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী মধ্যে সংলাপ রচনা। বাংলা ২য়। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি। এইচএসসি পরীক্ষা সকল বোর্ড।
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আজকে আমরা বাংলা দ্বিতীয় পত্রের 'বাল্যবিবাহ নিরোধের গুরুত্ব' সম্পর্কে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী মধ্যে সংলাপ রচনাটি শিখবো। চল আর কথা না বাড়িয়ে আজকের সংলাপ রচনাটি শিখে নেওয়া যাক।
বাল্যবিবাহ নিরোধের গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী মধ্যে সংলাপ রচনা
শিক্ষার্থীঃ স্যার, আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন, স্যার?
শিক্ষকঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম। ভালো আছি, তুমি কেমন আছো?
শিক্ষার্থীঃ জি স্যার, ভালো আছি। স্যার, আজ আমি একটি বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি।
শিক্ষকঃ বলো। কী জানতে চাও?
শিক্ষার্থীঃ স্যার, বাল্যবিবাহ কী?
শিক্ষকঃ আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে নারী বা ২১ বছরের কম বয়সের পুরুষের বিয়েই হচ্ছে বাল্যবিবাহ।
শিক্ষার্থীঃ আমাদের দেশে বাল্যবিবাহের প্রবণতা এত বেশি কেন?
শিক্ষকঃ উন্নয়নশীল দেশের মতো আমাদের দেশেও সচেতনতা ও শিক্ষার অভাবে বাল্যবিবাহ হচ্ছে।
শিক্ষার্থীঃ স্যার, এতে নারীদের কী কী সমস্যা হতে পারে?
শিক্ষকঃ বাল্যবিবাহর ফলে নারীরা নানান সমস্যা মুখোমুখি হতে পারে। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য— সংসারের দায়িত্বগুলো যথাযথ ভাবে পালন করতে না পারা, অপ্রাপ্ত বয়সে মা হওয়া, গর্ভ ধারণের সমস্যা, পুষ্টিহীনতা, স্বাস্থ্য সমস্যাসহ নানান জটিল সমস্যা সম্মুখীন হতে পারে নারীরা।
শিক্ষার্থীঃ অভিভাবকরা বাল্যবিবাহ কেন দেয়?
শিক্ষকঃ ঐ যে দারিদ্র্য, শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব। এছাড়া আমাদের রক্ষণশীল সমাজব্যবস্থায় নারীদের বোঝা মনে করা হয়।
শিক্ষার্থীঃ স্যার, বাল্যবিবাহ নামক অভিশাপ থেকে নারীরা কীভাবে মুক্তি পেতে পারে?
শিক্ষকঃ বাল্যবিবাহর কুফল সম্পর্কে একদিকে যেমন আইনের প্রয়োগ থাকতে হবে, অন্যদিকে তেমনি জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
শিক্ষার্থীঃ আপনাকে অনেক ধন্যবাদ স্যার— এ ব্যাপারে আমি অনেক কিছু জানতে পারলাম যাতে আমি নিজে সচেতন হতে ও অন্যকে সচেতন করতে পারব।
শিক্ষকঃ তোমাকেও ধন্যবাদ।