একজন মুক্তিযোদ্ধা ক্ষুদে গল্প রচনা। এইচএসসি পরীক্ষা সকল বোর্ড।
একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা। আশা করি তোমারা সকলেই ভালো আছো। আমি রঞ্জু, Runner Education BD এর পক্ষ থেকে তোমাদের সকলকেই স্বাগতম। আজকে আমরা বাংলা ২য় পত্রের 'একজন মুক্তিযোদ্ধা' খুদে গল্পটি শিখবো। চল আর কথা না বাড়িয়ে আজকের ক্লাস শুরু করা যাক।
একজন মুক্তিযোদ্ধা
আশরাফ সাহেব একজন সফল মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি দেশের জন্য সংগ্রাম করেছেন। দেশকে শত্রুমুক্ত করতে তিনি মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেন। যুদ্ধের সময় শত্রুর গুলিতে তিনি একটি পা হারিয়েছেন। সারাদিন শুয়ে বসে, গল্প করে তার সময় কাটে। স্বাধীনতার পর দেখতে দেখতে তার জীবন থেকে ৪৭ টি বছর পেরিয়ে গেছে। এখন তিনি ৭০ বছরের বৃদ্ধ মুক্তিযুদ্ধা। সমাজব্যবস্থা, বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ এবং টিভির বিচিত্র খবর দেখে তিনি হতাশাবোধ করেন। যে উদ্দেশ্যে তিনি দেশ স্বাধীন করেছিলেন, তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। দেশের অনেক মানুষ এখনো না খেয়ে ফুটপাতে ঘুমায়। সমাজে নারীরা এখনো নির্যাতনের শিকার হয়। ধর্মের নামে মানুষ এখনো প্রতারণার শিকার হচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সর্বোপরি দেশের শত্রুরা নৈরাজ্যেমূলক কার্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এসব দৃশ্য দেখে আশরাফ সাহেব ভাবেন, এখনো তার অনেক কাজ বাকি। এই পৌঢ় বয়সেও তিনি দেশের উন্নয়ন নিয়ে ভাবেন। এ জন্য তিনি সমাজের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে শিক্ষিত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলেন। বিপন্ন ও অসহায় মানুষের আবাসন দূর করতে দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করে। নারীদের শিক্ষা ও সচেতনতার জন্য জোরালো প্রচারণা চালান। দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ও মর্যাদার ব্যাপারে সুধী মহলে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। দেশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধের জন্য পুলিশ বিভাগের সাথে কথা বলেন। সমাজের মানুষকে সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে সর্তক থাকতে এবং গ্রামে গ্রামে গণপাঠাগার প্রতিষ্টার উদ্যোগ নেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরা প্রয়াস চালান। বৃদ্ধ বয়সেও এসব কর্মকান্ড করে তিনি স্বস্তি পান। কারণ তিনি মনে করেন, দেশের জন্য এখনো তার অনেক কিছু করার আছে।