শিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংলাপ রচনা। বাংলা দ্বিতীয় পত্র। এইচএসসি পরীক্ষা সকল বোর্ড।
একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা। আশা করি তোমারা সকলেই ভালো আছো। আমি রঞ্জু, Runner Education BD এর পক্ষ থেকে তোমাদের সকলকেই স্বাগতম। আজকে আমরা বাংলা ২য় পত্রের 'শিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা' বিষয়ে সংলাপ রচনাটি শিখবো। চল আর কথা না বাড়িয়ে আজকের সংলাপ রচনাটি শিখে নেওয়া যাক।
শিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংলাপ রচনা।
শিক্ষার্থীঃ আসসালামু আলাইকুম স্যার। আমি কি ভেতরে আসতে পারি?
শিক্ষকঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম। অবশ্যই। তারপর কী খবর বলো?
শিক্ষার্থীঃ স্যার, আমি আজ একটি বিষয়ে আপনার অভিমত জানতে চাই।
শিক্ষকঃ কী বিষয় বলো?
শিক্ষার্থীঃ স্যার, দেশে আশঙ্কাজনক হারে শিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েই চলছে– এ বিষয়ে আপনার সুচিন্তিত মতামত কী?
শিক্ষকঃ ঠিক বলেছ। গত ১০ বছরে প্রতিদিন গড়ে ১১ জন নারী সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নারী ও শিশুর প্রতি নির্মমতা ও ন্যাক্কারজনক নির্যাতনের বিবেকবান সমাজ হতবাক। নারী নির্যাতন বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে জাতিসংঘের নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদ বা সিডও কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান খান বলেন, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের এক জরিপে পুরুষদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তারা নারীদের অধস্তন মনে করেন কি না। এর উত্তরে শিক্ষিত ও অশিক্ষিত বেশির ভাগ পুরুষই জানান তারা নারীদের অধস্তন মনে করেন।
শিক্ষার্থীঃ স্যার, আপনি কী এক্ষেত্রে সমাজের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতাকে দায়ী করছেন?
শিক্ষকঃ অবশ্যই। নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে যৌতুক, বাল্যবিবাহ, ধর্ষণ ও স্ত্রীর প্রতি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন মূলত পুরুষতান্ত্রিক মানসিক নির্যাতনের ভিন্নরূপ।
শিক্ষকঃ বর্তমান পরিস্থিতি তো তা-ই বলছে। আকাশ সংস্কৃতির প্রভাব, ডিজিটাল সংস্কৃতি, আইনের কঠোর প্রয়োগ না হওয়া, ধনতান্ত্রিক সমাজের অস্থিরতাসহ বিভিন্ন কারণে নির্যাতন দিন দিন বাড়ছে।
শিক্ষার্থীঃ স্যার, শিশুর প্রতি সহিংসতাও তো বেড়েই চলছে।
শিক্ষকঃ হ্যাঁ, এ বিষয়গুলো সত্যি সভ্য সমাজের জন্য লজ্জার। তাছাড়া শিশুর যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে আত্নীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের মাধ্যমে। সত্যিই এটা দুঃখজনক।
শিক্ষকঃ এক্ষেত্রে প্রথমেই দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিকতার পরিবর্তন দরকার এবং প্রয়োজন শিক্ষার বিস্তার। আন্তরিকতা ও নারী-শিশু-নির্যাতনবিরোধী গণ-আন্দোলন তৈরিই এর প্রশমনে ফলপ্রসূ অবদান রাখতে পারে। এই সমস্যা নিরসনের সরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগ দুটিই সমান জরুরি।
শিক্ষার্থীঃ স্যার, আমি বড় হয়ে এই সমস্যা নিরসনের কাজ করতে চাই।
শিক্ষকঃ অবশ্যই করবে। তোমরাই পারো সমাজকে সাজাতে।
শিক্ষকঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম। তোমাকেও ধন্যবাদ। ভালো থেকো।
একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমাদের পরিক্ষার জন্য এরকম আরো বেশি বেশি নোট ও সাজেশন পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো। ফেইসবুকে সবার আগে আপডেট পেতে আমাদের ফেইসবুক পেইজটি FOLLOW করতে পারো।