সোনার তরী বোর্ড বইয়ের সৃজনশীল প্রশ্নর উত্তর। বাংলা ১ম পত্র। এইচএসসি পরীক্ষা ২০২২।

সোনার তরী বোর্ড বইয়ের সৃজনশীল প্রশ্নর উত্তর।

সোনার তরী কবিতার বোর্ড বইয়ের সৃজনশীল প্রশ্নর উত্তর। এইচএসসি পরীক্ষা সকল বোর্ড।


একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা। আশা করি তোমারা সকলেই ভালো আছো। আমি রঞ্জু, Runner Education BD এর পক্ষ থেকে তোমাদের সকলকেই স্বাগতম। আজকে আমরা বাংলা ১ম পত্রের 'সোনার তরী' কবিতার বোর্ড বইয়ের সৃজনশীল প্রশ্নর উত্তর শিখবো। চল আর কথা না বাড়িয়ে আজকের ক্লাস শুরু করা যাক।


সোনার তরী কবিতার বোর্ড বইয়ের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

মাদার তেরেসা অকৃত্রিম মাতৃস্নেহের আধার ছিলেন। আলবেনিয়ান বংশোৎভূত হয়েও তিনি তার কাজের জন্য সারা পৃথিবীতে স্মরণীয় হয়ে আছেন। ১৯৫০ সালে তিনি কলকাতায় মিশনারিজ অব চ্যারিটি নামে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে এই চ্যারিটি হোম সমথ পৃথিবীর দরিদ্র, অসুস্থ, অনাথ ও মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের জন্য কাজ করে। এই কাজের জন্য ১৯৭৯ সালে তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হয়। সেই পুরস্কারের সমস্ত অর্থ তিনি সেবার কাজে ব্যয় করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু পৃথিবীর মানুষ আজও তীর নাম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।

ক. বাংলা কত তারিখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্ম গ্রহন করেন? 

খ. “বাঁকা জল’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

গ. “সোনার তরী” কবিতার কোন বিষয়টি মাদার তেরেসার জীবনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “মাদার তেরেসার জীবন পরিণতিই “সোনার তরী” কবিতার মূল উপজীব্য’_ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্নর উত্তরঃ (ক)

২৫শে বৈশাখ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্ম গ্রহন করেন।
 

সৃজনশীল প্রশ্নর উত্তরঃ (খ)

“বাঁকা জল’ বলতে ভরা বর্ষায় নদীর ভয়ংকর রুপ ধারণের বিষয়টিকে বোঝানো হয়েছে। 
কবিতায় এক নিঃসঙ্গ কৃষক সোনার ধান কেটে নদীরতীরবর্তী খেতে অপেক্ষামাণ। আকাশে ঘন মেঘের গর্জন, বর্ষার ভরা নদীর ক্ষুরধারা স্রোতের সাথে জলও বাঁকা হয়ে খেলা করছে। ছোট খেতটুকুকে ধীরে ধীরে গ্রাস করে চলছে। এভাবে “বাঁকা জল’ শব্দটি দিয়ে কবিতাটিতে বৈরী প্রকৃতির রুপকে ইঙ্গিত করছে। এছাড়া “বাঁকা জল’ কবিতাটিতে কালস্রোতের প্রতীক।


সৃজনশীল প্রশ্নর উত্তরঃ (গ)

“সোনার তরী” কবিতায় উল্লিখিত ব্যক্তিমানুষের মৃত্যুর বিপরীতে কর্মে অমরতার বিষয়টি উদ্দীপকের মাদার তেরেসার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। 
“সোনার তরী” কবিতায় কবি এক গভীর জীবনদর্শনকে উন্মোচন করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন, মহাকাল কেবল মানুষের সৃষ্টিশীল মহৎ কর্মকেই গ্রহন করে; ব্যক্তিমানুষকে নয়। আর তাই কালপরম্পরায় সৃষ্টিকর্ম টিকে গেলেও মানুষকে অনিবার্যভাবে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হয়। আলোচ্য কবিতায় কৃষক চরিত্রের আধারে কবি এ সত্যটিকেই উন্মোচন করেছেন।


উদ্দীপকে মাদার তেরেসা অকৃত্রিম মানবসেবী ছিলেন। ১৯৫০ সালে তিনি কলকাতায় “মিশনারিজ অব চ্যারিটি” নামে এক সেবা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।পরবর্তী কালে প্রতিষ্ঠানটি সমহ্র পৃথিবীর দরিদ্র, অসুস্থ, অনাথ, ও মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের জন্য কাজ করে সুনাম অর্জন করে। এমন সেবাধর্মী কাজের জন্য তিনি নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। এর চেয়ে বড় যে পুরষ্কার লাভ করেন তা হলো মানুষের ভালোবাসা ও অমরত্ব। মানুষ আজও তাকে সম্মানের সাথে স্বরণ করে। আলোচ্য 'সোনার তরী' কবিতাতেও মানুষের কর্মের অমরতার কথা বলা হয়েছে। যেখানে দেখানো হয়েছে, ব্যক্তিমানুষের মৃত্যু অনিবার্য হলেও তার সৃষ্টিকর্মের মৃত্যু নেই। 
তাই বলা যায়, আলোচ্য কবিতায় ব্যক্তিমানুষের মৃত্যুর বিপরীতে কর্মের অমরতার দিকটি উদ্দীপকের মাদার তেরেসার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।


সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ (ঘ)

মাদার তেরেসার জীবনের পরিণতি তথা মৃত্যু এবং তাঁর কর্মের টিকে থাকার দিকটি 'সোনার তরী' কবিতায় ভাবসত্যকেই প্রমাণ করে।
'সোনার তরী' কবিতায় কবি মানুষের জীবনের অনিবার্য পরিণতির দিকটির প্রতি আলোকপাত করেছেন। পাশাপাশি কবিতায় মহৎ কর্মের দিকটিও তুলে ধরেছেন। কবি মনে করেন, মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নয়। মানুষ শত বছর বেঁচে থাকলেও কেউ তাকে মনে রাখে না। পক্ষান্তরে, কর্মের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে জায়গায় করে নেয়।


উদ্দীপকে মাদার তেরেসা বেঁচে আছেন তার কর্মের মধ্যে দিয়ে। সমগ্র জীবন তিনি মানবসেবায় ব্যয় করেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত 'মিশনারিজ অব চ্যারিটি' সমগ্র পৃথিবীর দরিদ্র, অসহায়, অনাথ, মৃত্যুপথযাত্রীর মানুষের সেবায় কাজ করেছে। আলোচ্য কবিতাতেও একইভাবে মহৎকর্মের অমরতার দিকটি ফুটে উঠেছে।

 

'সোনার তরী' একটি রুপকধর্মী কবিতা। কবিতায় ধান কেটে অপেক্ষামাণ এক কৃষকের বাস্তবতার অন্তরালে কবিতার ভাবসত্যকে উন্মোচন করেছেন। কবি মনে করেন, মৃত্যু মানুষের অনিবার্য পরিণতি। একে কেউ রোধ করতে পারে না। তবে ব্যক্তিমানুষের মৃত্যু হলেও, মৃত্যু তার কর্মকে স্পর্শ করতে পারে না। যেকোনো মানুষ কীর্তিমান বা বরণীয় হয়ে ওঠে তার কর্মের মাধ্যমে। তেমনি, উদ্দীপকের মাদার তেরেসা দরিদ্র, অসহায়, মৃত্যুপথযাত্রীর মানুষের সেবা করে পৃথিবীর মানুষের কাছে আজও বরণীয় হয়ে আছেন। তার জীবন ও কর্ম আজও মানুষ অনুসরণ করে। মাদার তেরেসার কীর্তি মানুষের কর্মের মধ্যে বেঁচে থাকার দিকটি 'সোনার তরী'  কবিতায় ফুটে উঠেছে।
তাই বলা যায়, উদ্দীপকের “মাদার তেরেসার জীবন পরিণতিই “সোনার তরী” কবিতার মূল উপজীব্য।


একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রিয় শিক্ষাCod বন্ধুরা, তোমাদের পরিক্ষার জন্য এরকম আরো বেশি বেশি নোট ও সাজেশন পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো। ফেইসবুকে সবার আগে আপডেট পেতে আমাদের ফেইসবুক পেইজটি FOLLOW করতে পারো।

1 Comments

Previous Post Next Post